বায়তুল আমান জামে মসজিদ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআলার ঘর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত একটি পবিত্র স্থান, যা আমাদের এলাকার মুসল্লিদের নামাজ আদায়, ইবাদত-বন্দেগি এবং বিভিন্ন ইসলামী কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে কাজ করছে। এখানে প্রতিদিন নিয়মিতভাবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সঠিক সময়ে জামাতে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ছোট-বড়, ধনী-গরিবসহ সমাজের সর্বস্তরের মুসলমানরা সমবেত হয়ে আল্লাহর সামনে বিনম্রচিত্তে সেজদায় লুটিয়ে পড়েন।
প্রতি শুক্রবার জুম’আর নামাজ ব্যাপক গুরুত্বের সাথে আদায় করা হয়, যেখানে মুসল্লিদের ভিড়ে মসজিদ মুখরিত হয়ে ওঠে। ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা এবং অন্যান্য বিশেষ মাহফিলে এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে সম্মিলিতভাবে আল্লাহর ইবাদত ও দোয়া করেন, যা মুসলমানদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও ঐক্যের বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে।
অভিজ্ঞ ইমাম ও জ্ঞানী খতীবের নেতৃত্বে এখানে কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে সঠিক খুতবা প্রদান করা হয়। পাশাপাশি ওয়াজ, নসিহত এবং ইসলামী দিকনির্দেশনার মাধ্যমে মুসল্লিদের ঈমান শক্তিশালী করা হয় এবং সঠিক পথে পরিচালিত করা হয়। মসজিদের শিশুদের জন্য মৌলিক কুরআন শিক্ষা, আরবি হরফ শেখানো ও নাজেরা শিক্ষা দেওয়া হয়। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য রয়েছে তাজবিদ, দোয়া, মাসআলা-মাসায়েল এবং নৈতিক শিক্ষার ব্যবস্থা।
এই মসজিদের সকল কার্যক্রম স্থানীয় মুসল্লিদের দান, সহযোগিতা, আন্তরিকতা এবং ভালোবাসার মাধ্যমে পরিচালিত হয়। সমাজের মানুষ আন্তরিকভাবে এখানে দান-সদকা ও খেদমত করে থাকেন, যা মসজিদের উন্নয়ন ও ধারাবাহিকতায় বিশেষ ভূমিকা রাখে।
মসজিদে সর্বদা একটি শান্ত, পবিত্র, পরিচ্ছন্ন ও ইবাদতের উপযোগী পরিবেশ বজায় রাখা হয়। আল্লাহর ঘরে প্রবেশ করলেই মুসল্লিদের হৃদয় প্রশান্তিতে ভরে ওঠে, মন আল্লাহর স্মরণে জেগে ওঠে এবং আত্মা প্রশান্তি অনুভব করে।
বায়তুল আমান জামে মসজিদের মূল লক্ষ্য হলো মুসল্লিদের হৃদয়ে ঈমানের আলো জাগিয়ে তোলা, সমাজে ইসলামী মূল্যবোধ প্রচার করা এবং মানুষের জীবনে নৈতিকতার আলো ছড়িয়ে দেওয়া। এটি শুধু একটি মসজিদ নয়, বরং মুসলমানদের জীবনের দিকনির্দেশক, সমাজের ঐক্যের প্রতীক এবং আখিরাতের মুক্তির পথপ্রদর্শক।